শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত ১৬কেজি গাঁজাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার অসহায় বিধবার জমি দখলের পায়তারা ভূমিদস্যুর গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কার জনক পুলিশি হামলার প্রতিবাদে- অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত ডিলারগণ কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন যাবত উচ্চমূল্যে সার বিক্রয় করে এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত ১০দিন ব্যাপী ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত ৭৩২বোতল এস্কাফ এবং ১০০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দসহ ৪জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করছেন ইউএলও এবং ঠিকাদার

কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করছেন ইউএলও এবং ঠিকাদার

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার অাদিতমারী উপজেলার উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের ৩তলার কাজ চলছে। কাজটি খামারবাড়ি প্রকল্পের। এই কাজ করা হচ্ছে অতি নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে।

 

সেখানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রুবেল এন্টারপ্রাইজের সাদ্দাম হোসেন নামের একজনের সাথে কথা হয়। সাদ্দাম হোসেন নিজেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলে নিজের পরিচয় দেন।

 

সাদ্দাম বলেন, কাজটি রুপালি এন্টারপ্রাইজের খামারবাড়ি প্রজেক্টের।

 

তার কাছে কার্যাদেশ দেখতে চাইলে বলেন, কার্যাদেশ নাই। কার্যাদেশ ঢাকা অফিস। অাছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ফোন নম্বর দিতেও ব্যর্থতা প্রকাশ করেন।

 

তিনি বলেন, জানেন তো অাদিতমারীতে ইটের সঙ্কট। এই ইট এক নম্বর কিনা জানিনা। এই ইটকে এক নম্বর ইট বলতেই হবে। এগুলো দেখাশোনা করার দায়িত্ব উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা এবং জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার।

 

স্থানীয় অাজিজুল হক বলেন, এই ইট ৪নম্বর।নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের স্টাফরাও একই কথা বলেন।

 

কাজের শ্রমিকরা বলছেন, কোম্পানী যা দিবে তাই দিয়ে কাজ করতে হবে। অামাদের করার কিছু নেই।

 

এর পরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার সুমনের সাথে কথা হয়। অামি এক নম্বর ইট কিনেছি। ইট বিক্রেতা অামাকে ঠকিয়েছে। তাই এসব ইট দিয়েই কাজ করতে হচ্ছে।

 

এ বিষয়ে উপজেলা লাইভস্টক অফিসার ডাঃ মোশারফ হোসেন তৎক্ষণাত কাজ বন্ধ করে দিয়ে বলেন, এই ইটের মান নিম্নমানের। তাই এই কাজ বন্ধ থাকবে। সবাই ইটগুলোকে নিম্নমানের বলছে। ইট পরিবর্তন না করলে কাজ হবেনা। কিন্তু পরে তিনি ঐ ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। কাজ ঠিক ঐ ইটগুলো দিয়েই করেছেন।

 

জেলা লাইভ স্টক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, অামি দুইবার ইটগুলো রিজেক্ট করেছি। তখন ইউএলও এবং ঠিকাদার বললেন স্যার এখান থেকে কিছু ইট কাজে লাগাই। অামি বলেছি সব ইট ফেরৎ দেয়া ভাল হবে। এই ইট দিয়ে কাজ করা যাবেনা।অামি রিজেক্ট করার পরেও যদি তারা না মানে, তাহলে স্থানীয়রা কাজটি নজরদারী করতে পারেন।

 

তিনি অারো বলেন, কেন তারা এই ইট দিয়ে কাজ করবে! এই ইট তো বাজে ইট। অামাদের সব কাজ পিকইট দিয়ে করা হয়েছে।অামাদের প্রজেক্ট ডাইরেকটর খুব ভাল মানুষ। অামাদের কাজ ১০০% হতে হবে।সরকারের কাজ শতভাগ করতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone